Citizen's Voice FAQ

প্রশ্নঃ রংপুর শহরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি রোগী সমাগম ঘটে, যেখানে ১০ জন রোগী বস্তে পারেনা সেখানে ৫০ জনের বেশি রোগী বসিয়ে রাখে, এক অসাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে। এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের কোন নজরদারি আছে কিনা? না থাকলে রংপুর শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিবেশ তদারকি করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

উত্তরঃ রংপুর সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভিজিট করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের কিছু ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই সমস্যা রয়েছে। এইসকল সমস্যা নিয়ে সরকার নীতিমালা তৈরী করতেছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কিছু নিয়ম নীতি বেঁধে দেওয়ার মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করা হবে।


প্রশ্নঃ আমি গত সপ্তাহে কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল এ গিয়েছিলাম । সেখানে রক্ত পরীক্ষার কেন্দ্রে কোন শৃঙ্খলা মেন্টেন করা হয় না । যে অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে তাকে রেখে যে পরে আসছে তাকে সেবা দেওয়া হচ্ছে । আবার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বয়স্করা কোনোভাবেই প্রাধান্য পায় না । যেসব মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানরা আছে তারাও তারাও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-কানুন মেনে চলেন না । যে আগে আসবে তাকে সবার পরে সেবা দেওয়া হয় । আবার যে পরে আসে তাকে সবার আগে সেবা দেয়া হয় । এ ধরনের অনিয়ম খুবই দুঃখজনক । কিভাবে এইসব অনিয়মের সমাধান করা যায় তার সাজেশন চাচ্ছি।

উত্তরঃ আপনি কুর্মিটোলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দিলে, তাঁরা সমস্যাটির সমাধান করবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে https://hsd.gov.bd/ "নাগরিক অভিযোগ দাখিল ফরম" পূরণ করার মাধ্যমে অভিযোগ জানান।অভিযোগ তদন্ত করার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


প্রশ্নঃ নাটোর জেলার, গুরুদাসপুর উপজেলার , মশিন্দা ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নাই। প্রয়োজনের সময় CHCP কেউ পাওয়া যায় না। এতে করে আশে পাশের মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ ?

উত্তরঃ নাটোর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার রোজি আরা খাতুনকে সমস্যাটি জানানো হয়েছে। তিনি শীঘ্রই পদক্ষেপ নিবেন।


প্রশ্নঃ ঢাকার হাসপাতালে আজকাল দালাল চক্র অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব দালাল চক্র এর শিকার আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা চিকিৎসা সেবা নিতে গ্রাম থেকে শহরে আসেন। আমাদের হাসপাতাল গুলিকে আমরা কেন সম্পূর্ণ রুপে দালাল মুক্ত করতে পারছিনা?

উত্তরঃ যারা গ্রাম থেকে শহরে আসে তারা অবশ্যই হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ব্যতীত কারো সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করবেন না। হসপিটাল কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশনা দেয়া আছে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার।তারপরও কোনো অনিয়ম, দালালচক্র দেখলে সাথে সাথে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে জানান এবং আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে https://hsd.gov.bd/ "নাগরিক অভিযোগ দাখিল ফরম" পূরণ করার মাধ্যমে অভিযোগ জানান।অভিযোগ তদন্ত করার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


প্রশ্নঃ ঢাকা শহরের কিছু নাম করা ডাক্তাররা রেফারেন্স ছাড়া দেখাই করতে চান না। স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার অধিকার সবার আছে। আমি যদি একজন ভাল ডাক্তার দেখাতে চাই, আমি তো টাকা দিয়েই দেখাব। সেক্ষেত্রে রেফারেন্স কেনো লাগবে? সোশ্যাল ক্লাসের এই বৈষম্য স্বাস্থ্যের মত মৌলিক অধিকার এর জায়গায় কেনো থাকবে?

উত্তরঃ আমাদের রেফারেন্স সিস্টেম আছে।রেফারেন্স সিস্টেম অনুসরণ করেন। আপনার জ্বর হলে চাইলেই প্রফেসরকে দেখাতে পারবেন না। আপনাকে সেবা নিতে হলে ছোট জায়গা থেকে রেফার হয়ে হয়ে আসতে হবে। এটাই সিস্টেম।


প্রশ্নঃ সরকারী হাসপাতালগুলিতে টিকেট কাটার জন্য নারী পুরুষের নির্দিষ্ট বুথ আছে । কিন্তু সেটা কোনভাবেই মেইনটেইন করা হয়না । মেয়েদের বুথে ছেলেরা যায় এবং কোন নারী প্রতিবাদ করলেও সেটা শোনা হয় না। এইসব ছোটখাটো নিয়ম কেনো মানা হয় না?

উত্তরঃ স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইটে https://hsd.gov.bd/ "নাগরিক অভিযোগ দাখিল ফরম" পূরণ করার মাধ্যমে জানান।অভিযোগ তদন্ত করার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ দাখিল পদ্ধতি এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয় জানতে নিম্নে সংযুক্ত ফ্লো-চার্ট অনুসরণ করুন।

Citizen's Voice