স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিকাশ

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিকাশ

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে উন্নয়নের যেসব ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রসরতা বেড়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য অগ্রগণ্য। আর এই সফলতা কে লিপিবদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ’ দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশ’ নামে একটি গ্রন্থ রচনার উদ্যোগ নেয়, যা প্রকাশিত হয়েছে প্রথমা প্রকাশন থেকে।

আমরা আমাদের অতীত থেকে দেখতে পাই যে, কয়েক শতাব্দীর ঔপনিবেশিক শাসন এদেশের মানুষের সামাজিক অবস্থান দুর্বল ও পশ্চাৎপদ করে রেখেছিল । ক্ষুধা, দারিদ্র, অশিক্ষা ও ব্যাধি ছিল এ অঞ্চলের ক্ষমতাহীন মানুষের নিত্যসঙ্গী । একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এই দুর্দশা মোচনের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল । কিন্তু, আমরা অনেকেই জানিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাস্থ্যখাতের ভূমিকা । স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশ তুলে ধরেছে রণাঙ্গনের প্রতিরোধ সংগ্রাম । আরো তুলে ধরেছে সেক্টর ভিত্তিক মেডিকেল সেবা প্রদান চিত্র , যার মাধ্যমে প্রকৃত জনযুদ্ধে রূপ নেয় মহান মুক্তিযুদ্ধ।

এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে আরও আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে সরকারী কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারীও NGO প্রতিষ্ঠানের ভুমিকাও ছিল অনবদ্য । এই গ্রন্থে দেশি ও প্রবাসী ৯৯ জন জনস্বাস্থ্যবিদ,গবেষক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, শিক্ষক এবং সাংবাদিক তাদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন , যা পড়ে সাধারণ পাঠক ধারণা করতে পারবেন গত পাঁচ দশকে স্বাস্থ্য খাতে কি কি পরিবর্তন এসেছে, কতটুকু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, এবং তা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কতটা অনন্য। উন্নয়নে আগ্রহী এবং তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন এমন সবার জন্যই এই বইটি অবশ্য পাঠ্য।

২ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা, বাংলাদেশ-এ বই এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর” বইটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার

Fifty years of independence : The development of the health sector in Bangladesh

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের পৃষ্ঠপোষক ডাঃ মেহরাজ জাহান ঝোরার মাধ্যমে ২৬ এপ্রিল ২০২২ বুধবার গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বইটি উপহার দেওয়া বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী এই অসাধারণ বইটি প্রকাশের জন্য BHW-এর প্রশংসা করেন এবং আশা করেন যে এই বইটি একটি দরকারী এবং ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে থাকবে।

Citizen's Voice