জনগণের মুখোমুখি সেবাপ্রদানকারী কর্তৃপক্ষ: সমস্যার স্থানীয় সমাধানে এক অনন্য উদ্যোগ

জনগণের মুখোমুখি সেবাপ্রদানকারী কর্তৃপক্ষ: সমস্যার স্থানীয় সমাধানে এক অনন্য উদ্যোগ

  • September 24, 2025
  • khagrachhari
জনগণের মুখোমুখি সেবাপ্রদানকারী কর্তৃপক্ষ: সমস্যার স্থানীয় সমাধানে এক অনন্য উদ্যোগ

খাগড়াছড়ি, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫:

আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় “স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন” বিষয়ক অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আয়োজন করে আধুনিক সদর হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ হেল্থ ওয়াচ ও জাবারাং কল্যাণ সমিতি।

সভায় সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনরা হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা, সুপারিশ ও মতামত উপস্থাপন করেন। তাঁরা হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ট্রলি ও হুইলচেয়ার না পাওয়া, হেল্প ডেস্ক অকার্যকর থাকা, ঔষধের অপ্রতুলতা, ভিকটিম রোগীদের জন্য আলাদা কেবিন না থাকা, রোগীদের নিম্নমানের খাবার, এবং হাসপাতালের প্রবেশপথের অনুপযোগী অবস্থা— এসব বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের, এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিএইএসটি’র চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ জাকির হুসাইন। তিনি বলেন, "জনগণের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন কেবল সরকারের উদ্যোগে সম্ভব নয়; চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ জনগণসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই তা বাস্তবায়ন সম্ভব।"

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. মো. ফারুক আব্দুল্লাহ, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনী) ডা. জয়া চাকমা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. পূর্ণজীবন চাকমা, মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. নয়নময় ত্রিপুরা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হেল্থ ওয়াচের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজেশ অধিকারী, ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর বিনোদন ত্রিপুরা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য হাসপাতাল, নীতিনির্ধারক এবং জনগণের যৌথ অংশগ্রহণ অপরিহার্য। জনগণের মুখোমুখি সভা (Public Hearing) বা নিয়মিত অংশীজন সংলাপের মাধ্যমে জনগণের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ গ্রহণ করলে সেবার মান বৃদ্ধি পায়, এবং হাসপাতাল ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

সভায় সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক বলেন, "সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে যত বেশি সমন্বয় হবে, সাধারণ মানুষ তত ভালো সেবা পাবে। খাগড়াছড়ি হাসপাতাল ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে ২০০ শয্যার সেবা দিচ্ছে, তবুও আমরা সেবার মানোন্নয়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি।"

সভায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে বক্তারা বলেন - "মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার জন্য সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি; আর এই প্রয়াসেই সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।"

Citizen's Voice